রাসূল (সা) বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে নামায আদায় করতে দেখো ঠিক সেভাবে নামায আদায় কর।‘ (বুখারী, মুসলিম ও আহমদ)
যে ব্যক্তি রাসূল (সা) এর নামাযের মতো নামায আদায় করবে তাকে তিনি সুসংবাদ দিয়ে বলেছেন যে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর ওয়াদা করেছেন।
তিনি আরো বলেছেন, “নিশ্চয় (কিছু) লোক এমন নামাযও পড়ে যার বিনিময়ে তার জন্য কেবল নামাযের এক দশমাংশ, নবমাংশ, অষ্টমাংশ, সপ্তমাংশ, ষষ্ঠাংশ, পঞ্চামাংশ, চতুর্থাংশ, তৃতীয়াংশ বা অর্ধাংশ লিখিত হয়। (আবু দাউদ ও নাসায়ী)
এই নামাযকে যথাযোগ্য বা তার কাছাকাছিরূপে সম্পন্ন করা আদৌ সম্ভব নয় যতক্ষণ না রাসূল (সা) এর ‘নামায আদায় পদ্ধতি’কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবো, যেমন নামাযের ওয়াজিব ও আদবসমূহ, তা অবস্থাদি, দোয়া ও যিক্রসমূহ, তারপর বাস্তব জীবনে এগুলোকে রূপায়নে মনোযোগী হবো। এসবের পর আমরা আশা করতে পারি যে, আমাদের নামায আমাদেরকে অশ্লীল কাজ ও পাপ-গুনাহ থেকে বিরত রাখবে এবং নামাযের বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব সওয়াব ও প্রতিদানের অঙ্গীকার রয়েছে তা আমাদের আমলনামায় লেখা হবে।
উপরের লেখার অংশ বিশেষ – রাসূল (সা) –এ নামায বই-এর মূল লেখক আল্লামা মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন আলবানী (র) অনুবাদ করেছেন মাওলানা শামসুদ্দিন মুহাম্মদ সালেহ। লেখক আলবানী (র) বিংশ শতাব্দীর শেষ্ট হাদিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে সার্বজনীন সমাদৃত ছিলেন। আরববিশ্বের আলেমগণ কোনো হাদিসকে গ্রহণ ও বর্জনের ক্ষেত্রে আলবানী (র) এর মতামতেক মাপকাঠি হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। তাঁর রচিত ‘রাসূল (সা) –এর নামায’ গ্রস্থটি মূলতঃ নামায সংক্রান্ত সহীহ হাদিসের একটি সংকলন।
নিচের বই গুলো অনেকের কাজে লাগত পারে।
সহীহ নামায ও দু’আ শিক্ষ (১-২-৩ খন্ড)
মহিলার নামায